একটি আদর্শ গড়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী রয়েছে যা গড়কে নির্ভুল, কার্যকর এবং ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। আদর্শ গড়ের প্রয়োজনীয় গুণাবলী হলো:
গড় এমন হতে হবে যা সহজে বোঝা যায় এবং গণনা করা সহজ হয়, যাতে এটি যে কেউ ব্যবহার করতে পারে।
গড় এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত যা প্রদত্ত ডেটার প্রকৃত কেন্দ্রীয় অবস্থান প্রকাশ করে। এটি ডেটার প্রকৃতি এবং বন্টন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।
গড় এমন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা উচিত যাতে এটি সবসময় একই ফলাফল দেয়। এটি নির্ভরযোগ্য হতে হবে।
গড়কে এমন হতে হবে যা ডেটার প্রতিটি মানকে বিবেচনায় নেয়। এতে ডেটার কোনো মান অগ্রাহ্য হওয়া উচিত নয়।
গড়কে এমন হতে হবে যা বাস্তব সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায়। এটি ডেটার প্রকৃতি অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
আদর্শ গড় এমন হতে হবে যা এক বা একাধিক অত্যধিক বড় বা ছোট মানের কারণে বিকৃত না হয়।
গড় পরিসংখ্যানের অন্যান্য সূচকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং তাদের সাথে কার্যকর সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
গড়কে এমনভাবে গণনা করা উচিত যা বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।
গড় একই এককে প্রকাশ করতে হবে যেমনটি ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। এককের পরিবর্তন গড়ের মানকে প্রভাবিত করবে না।
গড় এমন হওয়া উচিত যা বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ব্যবহার করা যায় এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত সংস্করণে সামঞ্জস্য করা যায়। যেমন: গাণিতিক গড়, মধ্যমা, বা মোড ইত্যাদি।
এই গুণাবলী নিশ্চিত করে একটি গড় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও দেখুন...